বিল শুকিয়ে মাছ শিকার বন্ধ হোক
- আপলোড সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১২:২১:৪০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১২:২১:৪০ পূর্বাহ্ন
গণতন্ত্র নিয়ে একটা বিখ্যাত দৃষ্টান্ত আছে। বলা হয়, আপনি আপনার হাতের ছড়ি যতো ইচ্ছে যেভাবে ইচ্ছে ঘুরাতে থাকুন, আমার কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু খেয়াল রাখবেন, আমার নাকে যেন ছড়ির স্পর্শ না লাগে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এতোটাই ষড়রিপুর বশীভূত যে তারা আত্মপরতার বাইরে কীছুতেই অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। নিজের ভালো করতে গিয়ে পড়শির ক্ষতি করতে পর্যন্ত কসুর করেন না। এই কারণেই বোধ করি আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির এতো অভাব। এর প্রতিফলন ঘটছে বিল ইজারা নিয়ে মাছ শিকারের ক্ষেত্রে। সেখানে ইজারাদার ও কৃষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয়েছে। ইজারাকৃত বিল থেকে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে মাছ ইজারাদার ধরতেই পারেন, কিন্তু গণতান্ত্রিকতা অনুসারে বিল শুকিয়ে মাছ শিকারে গিয়ে জল শুকিয়ে জলের অভাব ঘটিয়ে কৃষকের জমি অনাবাদি রাখার কারণ হয়ে উঠতে পারেন না। এটি একটি গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার বা করার ঘটনা।
কাঠামোগত সহিংসতার ব্যাপক বিস্তৃতির কারণে এমন ঘটনা দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে, হাজারে হাজার। কিন্তু প্রবলের ভয়ে দুর্বল কর্তৃক এমন সহিংস ও সন্ত্রাসী ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবার তার একটু ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে। অর্থাৎ এইভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণœ হওয়ার কারণে তার প্রতিকার চেয়ে এক কৃষক এক ইজারাদারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, “কাষ্টগংগা বিল শুকিয়ে মাছ শিকারে দেড় হাজার একর জমির ক্ষতির অভিযোগ : ইজারাদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের”।
আমরা ইজারাদার কর্তৃক নিপীড়িত এই কৃষকের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এবংবিধ গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার প্রতিবিধান করার দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য যে, বিল শুকিয়ে মাছ শিকার আইনত একটি অপরাধ, সে-অপরাধের কী বিচার করবেন, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে ন্যস্ত রইল।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ